চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা আতপ চালের প্রথম চালান খালাস শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিসিটি জেটি-১ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে, বুধবার বিকেলে পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি সিবি কাসিমবন্দর থেকে চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায় এবং জেটিতে ভেড়ানো হয়।
এদিকে, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির বন্দরে চাল খালাস এবং খাদ্য বিভাগের অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরকার টু সরকার (জিটুজি) চুক্তির অধীনে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। এমভি সিবি জাহাজে প্রথম চালানের ২৬ হাজার ২৫০ টন এসেছে। বুধবার খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চালের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করেন। চালের গুণগত মান ভালো প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল থেকে খালাস শুরু হয়।
সরকার চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে চাল আমদানি করে থাকে। তবে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই প্রথমবার পাকিস্তান থেকে এত বিপুল পরিমাণ চাল আমদানির চুক্তি করেছে।
সূত্র আরও জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে বেসরকারিভাবে পাকিস্তান থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি হলেও, সরকারিভাবে প্রায় ১৫ বছর পর এই প্রথম চাল আমদানি করা হলো। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে পাকিস্তানের বন্দরের সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রামে এটি মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবিরের প্রথম সফর। তিনি পতেঙ্গায় নির্মাণাধীন স্টিল সাইলো পরিদর্শন করেন এবং বন্দরের চাল খালাস কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর হালিশহর, দেওয়ানহাট সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো এবং চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ কার্যালয় পরিদর্শন করেন।