ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে সন্ধ্যায় তীব্র গোলাবর্ষণ চলছে।
আজ শুক্রবার (৯ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানি সেনারা জম্মু ও কাশ্মীরের উরি এবং পুঞ্চ সেক্টরে ভারী কামান ও গোলা ব্যবহার করে আক্রমণ চালিয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারাও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলার খবরও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। হিন্দুস্তান টাইমসের দাবি, পাকিস্তানের হামলায় ইতোমধ্যে ১৬ জন ভারতীয় নিহত হয়েছেন।
এই সংঘর্ষের পূর্বে, ভারত অভিযোগ করে যে পাকিস্তান বৃহস্পতিবার (৮ মে) ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন ব্যবহার করে জম্মু-কাশ্মীরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে, যা ভারতীয় বাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করেছে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা ভারতে কোনো হামলা চালায়নি।
এদিকে, পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ প্রথমে কূটনৈতিক উপায়ে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করবে। তবে কূটনীতি ব্যর্থ হলে পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না।
পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশ মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাকিস্তানি কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, “পাকিস্তান কূটনীতিকে সুযোগ দিচ্ছে।” তিনি ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এবং বলেন, ভারত একটি “হাইপ” তৈরির চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবিকে “হাস্যকর” আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, এটি একটি “বানানো গল্প” যা শুনে হাসি ছাড়া আর কিছু করার নেই। পাকিস্তানের ওই সরকারি কর্মকর্তা আরও জানান, ইসলামাবাদ ভারতে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন পাঠায়নি এবং বিষয়টি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণের জন্য অনুরোধ করেছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তারা সিএনএনকে জানিয়েছেন, তাদের নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পাঞ্জাবের পাঠানকোটের পুলিশও বিস্ফোরণের খবর পেয়েছে এবং জানিয়েছে, ঐ সময় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং সীমান্ত পরিস্থিতি regional স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উত্তেজনা প্রশমনের দিকে নজর রাখছে।