হাসনাত আব্দুল্লাহকে হত্যার হুমকি ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘জুলাই অভ্যুত্থানের’ আহত, শহীদ পরিবার ও ছাত্র-জনতা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর নাগাদ দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি দেবীদ্বার নিউ মার্কেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রতি হুমকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা অবিলম্বে এই ঘটনায় জড়িত “আওয়ামী লীগ দোসরদের” চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তব্যকালে বক্তারা সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনের উল্লেখ করে বলেন, “গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাইকে নিয়ে এ ধরনের কথা বলায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।” তারা আরও বলেন, “তাদের ভুলে গেলে চলবে না হাসনাত আব্দুল্লাহ কে ছিলেন, আজকে তারা স্বাধীনভাবে প্রেস ক্লাবে কথা বলতেছে কার জন্য।”
বক্তারা বিগত সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরে দাবি করেন, “বিগত ১৭ বছরে তারা ১৭ সেকেন্ডের জন্য তাদের স্থান প্রেস ক্লাবে হয় নাই। কিন্তু আজকে তারা স্বাধীনভাবে সবকিছু করতেছে, এসব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলপ্রসূ।” তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যে জাতি বিপ্লবীদের অমর্যাদা করে, সে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমরা তাদের অনুরোধ করবো আপনারা আপনাদের সম্মান রক্ষা করুন।”
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে বক্তব্য রাখেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ। এছাড়া, জাতীয় যুব-শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান নাহিদ, শামীম কাউসার, নাসির উদ্দীন, ফয়সাল হোসেন, এমরান হোসেন, আব্দুল্লাহ সামি, ফয়সাল মির্জা, জালাল হোসেন, জামাল হোসেন, শাহাদাত হোসেন শ্যামল, বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের নেতা রাকিবুল হাসান হৃদয়, মোক্তাদির জারিফ সিক্ত, সাজেদুল রাফসান ও মোঃ হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দেবীদ্বার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, আহত, শহীদ পরিবার ও ছাত্র-জনতা এক যৌথ বিবৃতিতে এই হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।