জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। তবে তিনি ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ নিজেই পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি উচ্চশিক্ষার pursuit-এর কথা জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। উচ্চশিক্ষায় পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার জন্যই তিনি এই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবামূলক ও জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের প্রথম সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমকে সাধারণ সম্পাদক এবং শহীদ মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য ছিল ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের কল্যাণার্থে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা প্রদান করা। এছাড়াও, শহীদদের পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা এবং আন্দোলনে আহত বা পঙ্গুত্ববরণকারী ব্যক্তিদের ওষুধপত্রসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা প্রদানও এই ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম।
মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধের নির্বাহী পদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে তার অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।