কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) ইন্টার্ন চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন সংকট সমাধানের দাবিতে তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করছেন, যার ফলে রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করেন। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি বুধবার পর্যন্ত চলবে বলে তারা জানিয়েছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রধান দাবিগুলো হলো – এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী ব্যতীত অন্য কেউ ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না, ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করা, স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসন, ম্যাটস ও নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন কার্যকর করা। দাবি পূরণ না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।
দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করেন। এর ফলে কুমিল্লা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা সেবা পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হন।
ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চিকিৎসাধীন আমির হামজার স্বজন জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা থাকলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যেত, কিন্তু এখন সিনিয়র ডাক্তারদের খুঁজে পাওয়া কঠিন।
নারী ওয়ার্ডের রোগী নাসিমা আক্তারের স্বজন বলেন, চিকিৎসকদের কাজ রোগীদের সেবা দেওয়া, কিন্তু তারা আন্দোলন করে রোগীদের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নিশাত সুলতানা জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে সিনিয়র চিকিৎসকদের সেবা কার্যক্রম চালু রাখতে বলা হয়েছে। জরুরি বিভাগ, প্রসূতি বিভাগ, সিসিইউ এবং আইসিইউ-এর মতো জরুরি সেবাগুলো চালু রয়েছে।