ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া বেআইনি ও সহিংস ঘটনাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে অন্তত ১৫০ জন শিক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে, যাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি, ধাপে ধাপে হামলায় জড়িত অন্যান্যদেরও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আগামী রোববার (১৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সভায় প্রতিবেদনটির ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ এই প্রতিবেদনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং সত্যানুসন্ধান কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জুলাই মাসের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক থেকে দেড় শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রাথমিকভাবে এসব শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হবে। পরবর্তীতে তাদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়ে অথবা নতুন কমিটি গঠন করে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হতে পারে।
সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, “দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফুটেজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে থাকা ফুটেজ এবং সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ ও তথ্য যাচাই করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল জুলাই মাসের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া। প্রতিবেদনে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।”