ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হিজাব ও নেকাব পরিহিত ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এখন থেকে নারী শিক্ষক, নারী কর্মকর্তা ও নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে। এছাড়া পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্টিং বা বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর বিষয়টি যাচাই করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) উপাচার্যের সভাকক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিনস্ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঢাবি জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা বিবেচনায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনে নারী সহকারী প্রক্টরের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক পরীক্ষায় এক ছাত্রী নেকাব পরা অবস্থায় পরিচয় শনাক্তকরণের সময় হেনস্তার শিকার হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানান।
নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে হিজাব ও নেকাব পরিহিত ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণে সুবিধা হবে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।