আমিরাতের বিখ্যাত ব্যবসায়ী মিরওয়াইস আজিজি তার মেয়ের ক্যানসারে মৃত্যুর পর প্রায় ৩ বিলিয়ন দিরহাম দান করেছেন, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সমান। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ তিনি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির জন্য দান করেছেন।
আজিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান মিরওয়াইস আজিজির মেয়ে ফারিস্তা আজিজি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মেয়ের মৃত্যুর পর তিনি ‘ফাদার্স এনডোর্সমেন্ট’ নামের একটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এই অর্থ দান করার ঘোষণা দিয়েছেন।
দুবাইয়ে একটি অলাভজনক হাসপাতাল তৈরি করা হবে তার দান করা অর্থে। সেখানে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে এবং সহজলভ্য চিকিৎসা প্রদান করা হবে। হাসপাতালটিতে একটি গবেষণাগারও থাকবে, যেখানে ক্যানসার চিকিৎসার সর্বশেষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হবে।
খালিজ টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, “আমিরাতের মানুষকে সেরা ক্যানসার চিকিৎসার জন্য আর ইউরোপ বা অন্য কোথাও যেতে হবে না।”
খালিজ টাইমস জানিয়েছে, মানবিক কোনো কাজে আমিরাতে এটিই সবচেয়ে বড় অনুদান।
মারওয়াইস আজিজি জানান, এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ এ বছরই শুরু হবে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে একইরকম আরও কয়েকটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে।
‘ফাদার্স এনডোর্সমেন্ট’ নামের এই ক্যাম্পেইনটি শুরু করেছেন আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম।
মেয়ের স্মরণে হাসপাতাল তৈরির ব্যাপারে মারওয়াইস আজিজি বলেন, “আমার দ্বিতীয় মেয়ে, ফারিস্তা, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিল। প্রথম ধাপের চিকিৎসা সফল হয়েছিল। কিন্তু সাত মাস আগে তার শরীরে আবারও ক্যানসার ফিরে আসে। ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর আল্লাহর ইচ্ছায়, আমার প্রিয় ফারিস্তা মারা যায়। আমরা তাকে দুবাইয়ে কবর দেই। এটি ছিল তার বাড়ি। যেখানে সে স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে উঠেছিল। ফারিস্তার মৃত্যুর পর আমার মধ্যে দান করার আকাঙ্খা আবারও বেড়ে যায়। যে মানবতার মাধ্যমে আমরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত সেটি মাঝে মাঝে এমন বড় ক্ষতি আমাদের মনে করিয়ে দেয়।”
তিনি আফগানিস্তানের কাবুলেও ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে একটি মেডিকেল কমপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেটি তার মেয়ের নামে হবে। সেখানে ক্যানসার ছাড়াও অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দেওয়া হবে।