পবিত্র রমজান মাস চলছে। বিশ্বের অন্যান্য মুসলিমদের মতো বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানও রোজা রাখার চেষ্টা করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাঝেমধ্যে কিছু রোজা রাখতে পারেন না, এমনটাও জানান তিনি।
২০১৩ সালে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ মুক্তির পর ভক্তদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শাহরুখ। সেখানে এক ভক্ত তাকে প্রশ্ন করেন, রমজান মাসে রোজা রাখেন কি না?
উত্তরে শাহরুখ খান বলেন, “হ্যাঁ, রোজা রাখি। তবে দুই-একটা রোজা বাদ যায়। কারণ আমাকে ব্যথার ওষুধ খেতে হয়। যখন পিঠের ব্যথা শুরু হয়, তখন ওষুধ খেতে হয়। এ কারণে দু-চারটা রোজা ছুটে যায়। তবে, মাশাআল্লাহ, বেশিরভাগ রোজাই রাখা হয়।” তিনি আরও বলেন, “শারীরিক সমস্যার কারণে সব রোজা রাখতে পারি না। তবে চেষ্টা করি বেশিরভাগ রোজা রাখার।”
ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখে পড়লেও, শাহরুখ খান বরাবরই নিজের অবস্থানে স্পষ্ট ছিলেন। ঈদের দিনেও ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাকে। এমনকি রমজানে বিভিন্ন ইফতার পার্টিতেও অংশ নেন কিং খান। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে তাকে তার সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতেও দেখা গেছে। শাহরুখ খান বরাবরই নিজেকে একজন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি সব ধর্মকেই সমান শ্রদ্ধা করেন।
শাহরুখ খানের এই স্বীকারোক্তি তার ভক্তদের কাছে আরও বেশি প্রশংসিত হয়েছে। তারা তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন, এবং জানতেন যে তার জন্য সব রোজা রাখা কষ্টকর হতে পারে। কিন্তু তার এই ইচ্ছা এবং চেষ্টা সকলের কাছে তাকে আরও বেশি প্রিয় করে তুলেছে।