ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আরব দেশগুলোর জোট আরব লীগ কায়রোতে এক বৈঠকে বসেছে। এই সম্মেলনে মিসর একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, গাজা পুনর্গঠন তিনটি ধাপে সম্পন্ন করা হবে। এর আওতায় ৪ লাখ বাড়ি এবং একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও, গাজায় নির্বাচনের আয়োজন করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে, যেখানে তিনি গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এবং সেখানে বিলাসবহুল শহর নির্মাণের কথা বলেছিলেন, আরব লীগ নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে এই সম্মেলন আয়োজন করেছে। মিসর দাতা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, এই প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নে তারা যেন এগিয়ে আসেন।
প্রস্তাবনায় গাজা পুনর্গঠনে মোট ৫৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রথম ধাপটি দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে, যেখানে ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। এই ধাপে ২ লাখ বাড়ি নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও, ৬ মাসের একটি উপ-ধাপে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার এবং অস্থায়ী বাড়ি স্থাপন করা হবে।
দ্বিতীয় ধাপে, যা আড়াই বছর মেয়াদী, আরও ২ লাখ বাড়ি এবং একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে। এই অবকাঠামো নির্মাণে মোট ৫৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। মিসরের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে থাকবে না। পরিবর্তে, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে, যা মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠনের দায়িত্ব পালন করবে।
হামাসের পুলিশের পরিবর্তে মিসর ও জর্ডানের প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যরা গাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে। এছাড়াও, ইসরায়েল কোনো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অধিগ্রহণ বা দখল করতে পারবে না, এমন প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
গাজা পুনর্গঠনে অর্থায়ন কারা করবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে, এই মাসের শেষে কায়রোতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে।