মাদারীপুরের নতুন মাদারীপুর এলাকায় রাজনৈতিক সহিংসতায় শ্রমিকদল নেতা সাকিল মুন্সী (৩০) নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামীপন্থিদের নিয়ে শ্রমিকদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নিহত সাকিল মুন্সী মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রবিবার রাতে সংঘটিত এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্রমিকদলের উপজেলা ও পৌরসভা শাখার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ অভিযোগ করে, কমিটিতে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা দলীয় নীতিবিরুদ্ধ। অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে পদ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সাকিল মুন্সীর নেতৃত্বে একটি অংশ পাল্টা কমিটি গঠন করে।
এই ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দেয়। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার হাওলাদারের ভাই লিটন হাওলাদার এবং তার সমর্থকরা এই বিরোধের কেন্দ্রে ছিলেন।
রবিবার দুপুরে, সাকিল মুন্সীর সমর্থকরা পৌর শহরে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এরপর, লিটন হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সাকিল মুন্সী গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সংঘর্ষের সময় ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।