রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :

বাণিজ্য বাড়াতে ঢাকা ও দুবাই চেম্বারের সমঝোতা স্মারক সই

ডেস্ক রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৭৫ বার পঠিত

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) বাণিজ্য প্রতিনিধিদল দুবাই চেম্বার্স আয়োজিত “দুবাই-বাংলাদেশ বিজনেস ব্রিফিং”-এ অংশগ্রহণ করেছে। বুধবার দুবাই চেম্বার অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করছে।

সভায় তাসকীন আহমেদ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য অন্যতম বৃহত্তম বাজার। এখানে প্রায় ১৭ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত আছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ কাঠামো, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ, শতভাগ বিদেশি মালিকানার সুযোগ এবং মেধাস্বত্ব সুরক্ষা আইন দুবাইয়ের ব্যবসায়ীদের জন্য আকর্ষণীয়। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে লজিস্টিক সেবা খাতে ইউএই’র উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের সুযোগের কথা জানান।

ডিসিসিআই সভাপতি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ফিনটেক, আর্থিক খাত, স্বাস্থ্য সেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন ও মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে দুবাইয়ের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

দুবাই চেম্বার্সের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ বলেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দুবাই চেম্বার্স কাজ করে যাবে।

তিনি জানান, দুবাইতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ২০২৪ সাল শেষে দুবাই চেম্বারে নিবন্ধিত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ হাজার ৬৮৬টি। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউএইতে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় শাখা অফিস স্থাপনের প্রস্তাব করেন। তিনি বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউএইতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশে একটি কার্যকর ডাটা সেন্টার স্থাপন জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন।

ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার উপর একটি তথ্য-চিত্র উপস্থাপন করেন। তিনি দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের উপর জোর দেন। দুবাই চেম্বার্সের গবেষণা ও তথ্য বিভাগের প্রধান ওমর খান দুবাই এবং বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর একটি তথ্য-চিত্র উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি। তিনি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ডাটা সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা, লজিস্টিক, ফ্যাশন ডিজাইন, ই-কমার্স খাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ইউএই-তে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা জানান।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই এবং দুবাই চেম্বার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তাসকীন আহমেদ এবং মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী, উভয় সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিটুবি ম্যাচ মেকিং-এর আয়োজন, যৌথ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, বাণিজ্য সভা, মেলা বা প্রদর্শনীর আয়োজন এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আদান প্রদানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাণিজ্য আলোচনা সভা শেষে দুবাই চেম্বার্সের সদস্যভুক্ত ৫০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলের বিটুবি ম্যাচ-মেকিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজীব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালেম সোলায়মান এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2024 nabakal.com
Design & Development BY Hostitbd.Com