ঈদ উৎসবের শুরু না হতেই মাংসের বাজারে উত্তাপ। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই গরুর মাংস থেকে শুরু করে মুরগির দাম পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী। তবে, মাছের দাম স্থিতিশীল থাকায় ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি মিলছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রীসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখন ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রমজানের শুরু থেকেই নিত্যপণ্যের বাজার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, ঈদের আগে মাংসের বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকার নিচে। সোনালি মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ৩১০-৩২০ টাকা। দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস ১২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে, মাছের বাজার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। পাঙ্গাশ-তেলাপিয়া, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বড় রুই মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৮০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা, সরপুঁটি ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের দাম ৮০০-১২০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, “ঈদের আগে মাংসের দাম বাড়ায় কেনা হয়নি। ঈদের কাছাকাছি সময়ে কিনব।” আরেক ক্রেতা আল আমিন বলেন, “প্রতি শুক্রবারে মাছ-মাংস কিনি। কিন্তু ঈদের আগে দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছি।”
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের চাহিদা বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে। রামপুরা বাজারের মুরগি বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, “খামারিরা সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় দাম বেড়েছে।” আরেক বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, “সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে।”
মাছ বিক্রেতা শওকত মিয়া জানান, মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং বেচাকেনা ভালো।