
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ সদর দপ্তর বেশ কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক বার্তায় এই পরামর্শগুলো জানানো হয়।
যাত্রীদের জন্য পরামর্শ:
- পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঈদের ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন।
- ভ্রমণকালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখুন।
- চালককে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দেবেন না।
- জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে বা ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
- রাস্তা পারাপারের সময় জেব্রা ক্রসিং বা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন।
- যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুটওভার ব্রিজ নেই, সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হোন।
- প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন।
- বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাবেন না।
- অপরিচিত কারো কাছ থেকে খাবার বা পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
বাস মালিকদের জন্য পরামর্শ:
- অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চালাতে দেবেন না।
- চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে, সে বিষয়ে চালককে নির্দেশ দিন।
- ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করা যাবে না।
বাস চালকদের জন্য পরামর্শ:
- অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং করবেন না।
- ক্লান্তি, অবসাদ বা অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় সঙ্গে রাখুন।
- বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তুলবেন না।
- আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলের সময় প্রয়োজনে পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলুন।
লঞ্চ, স্টিমার, স্পিডবোট যাত্রীদের জন্য পরামর্শ:
- জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌযানে উঠবেন না।
- নৌযানের ছাদে যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করবেন না।
- দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।
- যাত্রাপথে ঝড় দেখা দিলে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি না করে নিজের জায়গায় অবস্থান করুন।
- স্পিডবোটে ভ্রমণের সময় লাইফ জ্যাকেট পরুন।
লঞ্চ, স্টিমার, স্পিডবোট মালিকদের জন্য পরামর্শ:
- নির্ধারিত সংখ্যক ও নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার ও ড্রাইভার দিয়ে নৌযান পরিচালনা করুন।
- দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌযানের চলাচল বন্ধ রাখুন।
- নৌযানের মাস্টার ব্রিজে যাত্রীদের অবাধ চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা করুন।
- লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া রাখুন।
লঞ্চ, স্টিমার, স্পিডবোট চালকদের জন্য পরামর্শ:
- আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান নিয়ে বন্দর ত্যাগ করুন।
- ডেকের ওপর যাত্রীদের বসার স্থানে মালপত্র পরিবহন থেকে বিরত থাকুন।
- পর্যাপ্ত সংখ্যক বয়া ও লাইফ জ্যাকেট নৌযানে রাখুন।
- যাত্রাপথে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন বা তীরে ভিড়িয়ে রাখুন।
- নৌযানে মোবাইল ফোন ও রেডিও রাখুন এবং নিয়মিত আবহাওয়ার বুলেটিন শুনুন।
- প্রয়োজনে আবহাওয়া সংক্রান্ত অ্যাপ ব্যবহার করুন।
- বৈধ কাগজপত্র ছাড়া নৌযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকুন।
- সকল ফায়ার পাম্প ও অগ্নিনিরোধক যন্ত্রপাতির সঠিকতা নিশ্চিত করুন।
- দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান সনাক্তকরণের লক্ষ্যে নৌযানসমূহে ১০০-১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সম্বলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন।
ট্রেন যাত্রীদের জন্য পরামর্শ:
- ট্রেনের ছাদে, বাফারে, পাদানিতে ও ইঞ্জিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।
- ট্রেনে ভ্রমণের সময় পাথর নিক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।
- ট্রেনে ভ্রমণকালে মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন।
- বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।
প্রয়োজনে:
- পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে ০১৩২০০০১৩০০, ০১৩২০০০১২৯৯,
- হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৮২৫৯৮,
- রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৭৭৫৯৮,
- নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৬৯৫৯৮,
- র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ০১৭৭৭৭২০০২৯ নম্বরে এবং
- জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
সকলের ঈদ আনন্দে ও নিরাপদে কাটুক এই প্রত্যাশা ও সার্বিক চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।