আসন্ন বাজেটে তামাক পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)। তাদের মতে, এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে সরকারের আয় ২০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, এর ফলে অনেক মানুষের অকাল মৃত্যুও ঠেকানো সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় আত্মা এই প্রস্তাব দেয়।
আত্মা চায়, কম দামি ও মাঝারি দামের সিগারেট মিলিয়ে প্রতি ১০ শলাকার খুচরা মূল্য ৯০ টাকা করা হোক। এতে গরিব ধূমপায়ীরা সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দেবে, আর তরুণরাও সিগারেট খাওয়া শুরু করতে চাইবে না।
এছাড়া, বেশি দামি সিগারেটের দাম ১৪০ টাকা এবং আরও বেশি দামি সিগারেটের দাম ১৯০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই তিন ধরনের সিগারেটের ওপর ৬৭ শতাংশ বাড়তি কর রাখার কথাও বলা হয়েছে।
আলোচনায় আরও বলা হয়, ফিল্টার ছাড়া ২৫টা বিড়ির দাম ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০টা বিড়ির দাম ২০ টাকা করে ৪৫ শতাংশ বাড়তি কর বসানো হোক। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের দাম ৩০ টাকা করে ৬০ শতাংশ বাড়তি কর বসানোর কথা বলা হয়েছে। সব তামাক পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ রাখার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, “আমরা সিগারেটের ব্র্যান্ডরোল ছাপাই। কিন্তু অনেকেই নকল ব্র্যান্ডরোল ব্যবহার করে। আমরা এখন ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করছি, যাতে নকল করা বন্ধ হয়। সিগারেটের দাম বাড়ালে কোম্পানিগুলো খুশি হয়, কারণ তাদের লাভ বাড়ে। কিন্তু কর বাড়ালে তারা খুশি হয় না। এটা বুঝতে আমাদের একটু সময় লেগেছে।”
আত্মার মতে, এই প্রস্তাবগুলো মানলে তামাক ব্যবহার কমবে এবং সরকারের আয় বাড়বে।