হামজা দেওয়ান চৌধুরী মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল টিম হোটেলে তারকা এই ফুটবলারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা এবং বাফুফের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত নাম হামজা চৌধুরী। এই প্রথমবার তিনি দেশের মাটিতে জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে পা রাখলেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গণমাধ্যম, সবার নজর ছিল তার দিকে।
সিলেট থেকে উড়োজাহাজে রাত পৌনে নয়টায় রওনা হয়ে রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন হামজা। সিলেটের পর ঢাকাতেও তাকে ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ভক্তদের আবদার মিটিয়ে ছবি তোলেন তিনি। বিমানবন্দরে কিছু বিলম্ব হওয়ায় টিম হোটেলে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশে খেলার স্বপ্ন বহুদিনের। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবেন তিনি। সিলেট ও হবিগঞ্জে হামজাকে দেখতে ফুটবলপ্রেমীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। ভক্তদের এমন ভালোবাসায় তিনি অভিভূত। তিনি বলেন, “বাবার সঙ্গে আলোচনা করে খুব ভালো লাগছে।”
হামজা চৌধুরী জাতীয় দলে ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলবেন। তিনি মিডফিল্ড ও রক্ষণ—দুই পজিশনেই সমান দক্ষ। তবে মিডফিল্ডে খেলতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
হামজাকে দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন, সামাজিক মাধ্যমেও তার ভক্তের সংখ্যা অগণিত। ভক্তদের এমন প্রত্যাশা কি তার উপর চাপ তৈরি করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে হামজা বলেন, “একেবারেই না। মানুষ ভালোবাসা দেখাচ্ছে, এটা চাপ নয়, বরং ভালো খেলার অনুপ্রেরণা।”
বাংলাদেশে হামজার অসংখ্য ভক্ত আছেন, যারা তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি। তাদের সঙ্গে জুনে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এই তারকা।