চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৭ মার্চ) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। বৈঠকে ১২৭ জন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ” জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর পরাজিত শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পুলিশকে বিদ্যমান আইনের অধীনে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, তাই পুলিশকে সেই অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে।”
প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশি কার্যক্রম আরও সহজ করার পরামর্শ দেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি অনলাইনে মামলা গ্রহণের ব্যবস্থা চালুর ওপর জোর দেন। মাঠ পর্যায়ে কাজের গতি বাড়াতে পুলিশ সুপারদের কর্মদক্ষতা মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে সুযোগ পেয়েছি, তা যেন হাতছাড়া না হয়। পুলিশকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ এবং বিশ্ব নেতৃত্বে পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।”
“দেশ গঠনে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পুলিশের মাধ্যমেই সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে কোনো উন্নয়নই সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। তাই, প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।”
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশের কাজের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশকে সহায়তা করা হবে।”
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ এবং রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।