ঢাকার বাসযোগ্যতা বাড়াতে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোববার (১৬ মার্চ) মোহাম্মদপুরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তারা বলেন, একটি টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত শহর গড়তে ড্যাপের সঠিক বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা ঢাকার বর্তমান বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের তালিকা অনুযায়ী, ১৭৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬। তারা বলেন, গত ২৩ আগস্ট অনুমোদিত ড্যাপে পথচারীবান্ধব অবকাঠামো, গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, সবুজায়ন এবং আবাসন শিল্পের সঠিক পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ড্যাপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আবাসন শিল্পের সঠিক পরিকল্পনা জরুরি। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র রাস্তার প্রশস্ততার ওপর নির্ভর করে ভবনের আকার নির্ধারণ করা উচিত নয়, বরং ওই এলাকার অবকাঠামো, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা এবং পরিবেশের ধারণক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, খেলার মাঠ, পার্ক, নদী-খাল দখল এবং অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্পের কারণে শহরের মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ড্যাপে ২০২ কিলোমিটার সাইকেল লেন নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে, যা সাইক্লিস্টদের জন্য উপকারী হবে। এছাড়াও, গণস্থাপনা ও গণপরিসর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সভায় বক্তারা ড্যাপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শহরে পরিণত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আন্তরিকভাবে কাজ করলে এই পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।