দেশজুড়ে জননিরাপত্তা জোরদারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্যসহ মোট ৩৮৩ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদক:
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৩টি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ২টি শুটার গান, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানের উদ্দেশ্য ও জনসচেতনতা:
আইএসপিআর জানিয়েছে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে হস্তান্তর করা হয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সেনাবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করছে।
জনসাধারণের প্রতি আইএসপিআরের অনুরোধ, যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করুন। জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অত্যন্ত জরুরি।
জননিরাপত্তার গুরুত্ব:
সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযান জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অভিযানের মাধ্যমে শুধু অপরাধীদের গ্রেপ্তার করাই নয়, বরং জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করাও লক্ষ্য।
জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে। তাই, যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।