নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারি করেছে হাইকোর্ট। শুধুমাত্র এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীরাই এখন থেকে এই পদবি ব্যবহার করতে পারবেন।
বিচারপতি রাজিক আল জলিল এবং বিচারপতি সাথিকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার (১২ মার্চ) এই গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সময়ে যারা এই পদবি ব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। তবে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) থেকে এই নিয়ম লঙ্ঘিত হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রায়টি দুটি পৃথক রিটের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে, যার চূড়ান্ত শুনানির জন্য আজকের দিনটি নির্ধারিত ছিল। রিটগুলি মূলত ২০১০ সালের বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে আইনের বৈষম্যমূলক প্রয়োগের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে একটি রিট দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে, আইনের ২৯ ধারার বৈধতা নিয়ে আরেকটি রিট করা হয়।
আদালতে, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন রিটকারীদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম শুনানি করেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২৯ ধারা অনুযায়ী, শুধুমাত্র স্বীকৃত মেডিকেল বা ডেন্টাল শিক্ষা যোগ্যতা থাকলেই ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করা যাবে।
এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।