জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দাবি করেছেন, রাখাল রাহার সঙ্গে এই কাগজ কেনার কোনো সম্পর্ক নেই এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরও এই কাজের সাথে জড়িত নন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, রাখাল রাহার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অপপ্রচার। তিনি আরও বলেন, পাঠ্যবইয়ের জন্য কাগজ কেনা হয়েছে প্রায় ১০২ কোটি টাকার মতো, সেখানে ৪০০ কোটি টাকার বাণিজ্য কীভাবে সম্ভব, তা বোধগম্য নয়।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান দাবি করেন, একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত কমিশন বাণিজ্যের সংবাদটি ভুয়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি জানান, চলতি বছরের পাঠ্যবই পরিমার্জন কমিটিতে রাখাল রাহা দায়িত্ব পালন করেছেন। টেন্ডার, পাঠ্যবই ছাপা বা কাগজ কেনার কাজে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এসব কাজ সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা করেছেন।
Rakhal Raha
অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, শিক্ষা ও শিক্ষাক্রম বিষয়ে রাখাল রাহার জ্ঞান থাকায় সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা তাকে পরিমার্জন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। ৪১ সদস্যের কমিটিতে তিনি একজন ছিলেন। তিনি স্বেচ্ছায় কাজ করেছেন এবং তার কাজের জন্য এককভাবে তাকে দায়ী করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, রাখাল রাহা ফেসবুকে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করতেই পারেন। এনসিটিবি মনে করে, এটি তার ব্যক্তিগত বিষয় এবং এর সাথে কাজের কোনো সম্পর্ক নেই।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, প্রতি বছর নবম শ্রেণি পর্যন্ত বই ছাপা হলেও, এবার দশম শ্রেণির জন্যেও বই ছাপতে হয়েছে। এর ফলে, অতিরিক্ত ৫ কোটি ৬৯ লাখ বইয়ের জন্য ৫২৫ কোটি টাকা বেশি লেগেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিবির অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।