সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সাথে সঙ্গতি রেখে চাঁদপুর, পিরোজপুর, ভোলা এবং শরীয়তপুরের প্রায় ৮৫টি গ্রামের বাসিন্দারা রোজা পালন ও রমজান মাসের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ ও সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে শনিবার (১ মার্চ) থেকে তারা প্রথম রোজা পালন করেন। এই অনুসারীরা সুরেশ্বর দরবার শরীফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরীফ এবং সাদ্রা দরবার শরীফের অন্তর্ভুক্ত।
আজ, চাঁদপুরের ৩৫টি গ্রাম, শরীয়তপুরের ৩০টি গ্রাম, পিরোজপুরের ১০টি গ্রাম এবং ভোলার ১০টি গ্রামের মানুষ রোজা রাখছেন।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ এবং মতলব উত্তর উপজেলা; পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম; কাউখালী উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন; নাজিরপুর উপজেলার একটি গ্রাম; সদর উপজেলার দুটি গ্রাম এবং শরীয়তপুরের ৩০টি গ্রামে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রাখা হচ্ছে।
এছাড়াও, ভোলা জেলার সাতটি উপজেলার ১০টি গ্রামে সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার এবং সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা শুরু করেছেন। ভোলা সদর উপজেলা, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমুদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন এবং মনপুরা উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার অনুসারী রোজা পালন করছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার অনুসারী রয়েছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের একটি গ্রামে।
এই তিনটি দরবারের অনুসারীরা প্রায় এক শতাব্দ ধরে এই ঐতিহ্য বজায় রেখেছেন। তারা মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের আগেই ঈদও উদযাপন করেন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদিনশীল পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী সুরেশ্বরী জানান, তারা শুধু ঈদ নয়, বরং সকল ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পালন করেন। তিনি আরও বলেন যে, সোমবার শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামের ৩০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান রোজা রেখেছেন। আমরা আগামীতেও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করবো।