জাতীয় নাগরিক পার্টির অন্যতম নেতা ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “রাজনীতির আগেও আমার পরিচয় আমি একজন মুসলমান। আমি আমার এই পরিচয় ধারণ করি, সবসময় করেই যাবো।” তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থি কোনো রাজনীতি এনসিপি কখনও করবে না। তিনি আরও জানান, দলটি ভুল করলে তা স্বীকার করে সংশোধন করবে এবং জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেবে—“আমরা নির্ভুল নই। কোনো ভুল করলে আপনারা আমাদের নিজের ভাই মনে করে ভুল ধরিয়ে দেবেন, এবং ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘অথবা’ ছাড়াই আমরা আমাদের ভুল সংশোধন করে নেব।”
গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিতে জুলাই আন্দোলনের ১০ জন শীর্ষ নেতা স্থান পেয়েছেন। কমিটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে—মধ্যপন্থি, ডানপন্থি, বামপন্থি, শিবির, কওমিপন্থি, আদিবাসী এবং নারী নেতৃত্বও দলটিতে জায়গা পেয়েছে। এতে ১৬ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ৩২ জন যুগ্ম সদস্য সচিব, ১২ জন যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, ৪৪ জন সংগঠক, ১৪ জন যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক এবং ৪৩ জন সাধারণ সদস্য রয়েছেন।
দলের শীর্ষ ১০ পদে রয়েছেন—আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা, প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
বাংলাদেশের তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত এই দলটি ইতোমধ্যেই নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান করা, জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং জাতীয় স্বার্থকে সবার ওপরে রাখার যে বার্তা দলটির নেতারা দিয়েছেন, তা বাস্তবে কতটা কার্যকর হয়—সেটিই এখন দেখার বিষয়। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এনসিপির এই পদক্ষেপ নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।