বরগুনার কালিবাড়ির শোকাবহ পরিবেশে মন্টু চন্দ্র দাসের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার সকালে হেলিকপ্টারে বরগুনা পৌঁছে, সরাসরি নিহত মন্টুর বাড়িতে যান তিনি। সেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং ঘোষণা করেন মন্টুর সদ্যোজাত শিশুটির বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
জামায়াত আমির বলেন, “মানবতার বিপর্যয়ে আমরা সর্বদা সংবেদনশীল। দল-মত নির্বিশেষে আমরা নিপীড়িতের পাশে আছি।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “একটি নিষ্পাপ শিশুর ওপর যে পাশবিক অত্যাচার হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একজন অসহায় বাবার জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা এই নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।”
তিনি মন্টুর পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “একটি দরিদ্র পরিবারের স্বপ্ন এভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই দুঃসময়ে তাদের পাশে আছি।”
ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “এই ঘটনা যেকোনো বিবেকবান মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেয়। আমরা এই পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি বলেন, “আমরা এই পরিবারের পাশে থেকে তাদের সব প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করব। তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি খরচ আমরা বহন করব।”
মামলার দ্রুত বিচার দাবি করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “তারেক রহমান তার দলকে আইনি সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের আইনজীবীরাও এই লড়াইয়ে অংশ নেবেন। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার আহ্বান জানাই।”
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, তার নাবালিকা কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়, যার অভিযোগে স্থানীয় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।