রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :

বাড়ছে পানি, উত্তরাঞ্চলে বন্যার শংকা – ৭১বার্তা

মোস্তাফিজার বাবলু
  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬৪ বার পঠিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীতেও পানি বেড়েছে। এর ফলে উত্তরের এই দুই জেলায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিতের শঙ্কা দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার এবং কুড়িগ্রামের কাউনিয়া পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা আজও অব্যাহত আছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে তিস্তাপাড়ের চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকা।

পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তিস্তাপাড়ে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে পানি আরও বাড়তে পারে।

এদিকে শুক্রবার বিকেল থেকে রাজপুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে তিস্তার পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে পানিবন্দি এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আনতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন।

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে চতুর্থ দফায় কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীতেও পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এতে করে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কুড়িগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৯০ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১১০ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও নিচু চরাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হলেও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৭ আগস্ট ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা- শেখ মোস্তারি জান্নাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2024 nabakal.com
Design & Development BY Hostitbd.Com