লিবিয়ার ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল এক হাজার। এছাড়াও এখনও নিখোঁজের তালিকায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বন্য়ার ভয়াবহতায়।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে দের্না এলাকায় ভয়াবহ বন্যা। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন হাজার। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় এক হাজার জনকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় এখনও প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ। মঙ্গলবার লিবিয়ার বেনগাজি প্রশাসনের তরফে এই তথ্য জানিয়েছে।
লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুখপাত্র তাকফিক শুকরি এই দিন বলেন, ২ হাজার ৮৪ জন বন্যায় নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন এখনও প্রায় নয় হাজার মানুষ।
এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে । লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের বেনগাজি প্রশাসন ধারণা, প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গিছে এই বিধ্বংসী বন্যায়। অন্য দিকে রাজধানী ত্রিপোলিতে জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দইবা বলেন, ১৪ টন ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসা কর্মীদের নিয়ে একটি বিমান বেনগাজির দিকে রওনা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দের্না শহর। সেখানে উদ্ধার বাহিনী প্রবেশ করতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে বারবার।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ত্রিপোলি সরকার ইতিমধ্যেই লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। অসহায় মানুষদের জন্য সাহায্য পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই ত্রাণ নিয়ে বিভক্ত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
বেনগাজি প্রশাসন তরফে জানানো হয়েছে, ভূমধ্যসাগরীয় শহর দের্না থেকে এক হাজারেরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল পূর্ব লিবিয়ায় বিধ্বংসী বন্যা ডেকে আনে। এই দিন ওয়াদি দেরনা নদীর দুটি বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধ ভেঙে দেরনা শহরে লক্ষাধিক ঘনমিটার জল ঢুকে পড়ে। এর ফলেই ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়েছে।
বন্যায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে সুউচ্চ অট্টালিকার। শহরের আবাসিক ভবনগুলো রীতিমতো ধসে পড়েছে। জলের স্রোতে একাধিক সেতু ভেঙে গিয়েছে। এতেই উদ্ধারকাজ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন ।
জলের স্রোতে ভেঙে গিয়েছে একাধিক রাস্তাঘাটও।
দের্না শহরের আশেপাশে ইতিমধ্যেই ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। বেসরকারি সূত্রে অনুমান করা হচ্ছে, এখনও বন্যায় পাঁচ থেকে ১০ হাজার মানুষ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।