ওইদিন বিকেলেই পুলিশ পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকা থেকে নিজামের মালিকানাধীন খাজা ডেন্টাল কেয়ার ও লিমু মেডিকেল হল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট দুপুরে নিজাম বিল্লাহ ফোনে তার ভাগ্নীকে জরুরী কাজের কথা বলে চেম্বারে আসতে বলে। ভুক্তভোগী চেম্বারে এলে একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। লোক লজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী বিষয়টি কাউকে না বললেও পরে তার মাকে জানায়। আপন মামার এহেন কর্মকান্ডে কয়েকদিন ধরে বিষ নিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে তার মা মেয়েকে নিয়ে সোমবার থানায় মামলা করেন।
ভুক্তভোগী মা জানান, আমার লম্পট ভাই আমার মেয়ের যে সর্বনাশ করেছে আমি এর সঠিক বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, নিজামের দু’স্ত্রী থাকলেও সে নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িত। তার ডাক্তারি চেম্বার থেকে মেয়েদের সন্মান নিয়ে ফিরে আসা কষ্টসাধ্য।
স্থানীয়রা জানান, বিগত দিনের একটি ঘটনায় ৪০ লাখ টাকা দিয়ে রফাদফা করেছে। তারা নিজাম বিল্লাহর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।
মঠবাড়িয়া থানার (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মামলার কিছুক্ষণ পরেই অভিযুক্ত নিজাম বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং গ্রেপ্তার নিজাম বিল্লাহকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সম্পাদনা: মোস্তাফিজার বাবলু।