অনুকূল আবহাওয়ায় মৌসুম শুরুর আগেই রংপুরের মিঠাপুকুর এবং দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় ফুলকপির চাষ শুরু করেছে সব্জি চাষিরা। ভালো দাম পেতে এখন ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন,কেউ কীটনাশক ছিটাচ্ছেন, আবার কেউ সেচ দিচ্ছেন। অনেকে নতুন করে শীতকালীন সবজির চারা রোপণেও ব্যস্ত।
মিঠাপুকুরের ভাংনি ইউনিয়নের জগনান্দ গ্রামের চাষি মোজাফ্ফর , নুরুল ইসলাম নুরু ও আলাউদ্দিন জানান, মিঠাপুকুর হচ্ছে সব্জি ভান্ডার। এখানকার সব্জি স্থানিয় চাহিদা পূরণ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হয়ে থাকে।
এজন্য এখানকার চাষিগণ ফুলকপি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একই কথা জানালেন, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের নদীপাড়ের কৃষক সাহেব বাবু। এবার তিনি ৯৯ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন।
তিনি জানান, আমডুঙ্গি হাটের পাশের জমিতে ফুলকপি চাষ করছেন। ৯৯ শতাংশ জমিতে এখন সার ও নিড়ানি দিচ্ছেন সাতজন মজুর। গ্রামে সাধারণত এই সময়ে কৃষি শ্রমিকদের কাজ থাকে না। আগাম কপি চাষ করায় কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি তিনিও লাভের আশা করছেন।
চাষি মোজাফ্ফর,নুরুল ইসলাম নুরু,আলাউদ্দিন ও সাহেব বাবু বলেন, ফুলকপি ৬০ দিনের ফসল। ২০ হাজার চারা রোপণে ফলন পাওয়া পর্যন্ত জমি চাষ, সার, কীটনাশক, নিড়ানি,শ্রমিকসহ খরচ হবে দুই লাখ টাকা। একটি কপি ২০ টাকা করে বিক্রি করলে ২০ হাজার কপি ৪ লাখ টাকা বিক্রি হবে।
কৃষকরা আশা করছেন, খরচ বাদ দিয়েও ২০হাজার কপিতে ২ লাখ টাকা লাভ হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার ওপর দিয়ে ছোট-বড় নদী প্রবাহিত। নদী এলাকায় ব্যাপক পলি জমি রয়েছে, যা সবজি চাষের উপযোগী। সম্পাদনায়- শেখ মওদুদ আহমাদ। শব্দ – ২৩৯।