রংপুর সদর উপজেলার ৪নং সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের ১১জন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে অনাস্থার আবেদন করেছেন।
রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর করা আবেদনটিতে ১১জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান সোহেল রানা একজন আপাদমস্তক দুর্নীতিপরায়ন ব্যক্তি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদকে তার ব্যক্তিগত স্বার্থ নীতির আখড়ায় পরিনত করেছেন। ইউনিয়নের হতদরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী ভিজিএফ এর চাল প্রতিনিয়ত আত্মসাত কাজ চলেছেন।
ইতিপূর্বে চুরিকৃত চালসহ ধরা পড়ায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১)/২৫(গ) ধারায় মামলা চলমান রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে ইউনিয়নের কোন আয় নেই জানিয়ে সদস্যগণের মাসিক ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ১% টাকা জমা না দিয়ে পরিষদের রাজস্বখাতের টাকা আত্মসাৎ, ইউপি সদস্যাগণ মাসিক সম্মানী ভাতা চাওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ নানাভাবে হেনস্থা করা, হয়রানী হুমকী প্রদান, পরিষদের আসবাবপত্র নিজ বাড়ীতে নিয়ে ব্যবহার এবং বিক্রি, বিগত বছরগুলোতে এলজিএসপির টাকা নাম মাত্র টেন্ডার দেখিয়ে আত্মসাৎ এবং পরিষদের স্টোররুমে রক্ষিত হতদরিদ্র মহিলাদের প্রশিক্ষণের জন্য এলজিএসপির টাকা হতে ক্রয়কৃত সেলাই মেশিন নিজ বাড়ীতে নিয়ে বিক্রি, নিজেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গচুর করে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে মামলা নানা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের বলা হয়েছে।
আবেদনে স্বাক্ষরকারী ইউপি সদস্যগণ হলেন, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম প্যানেল চেয়ারম্যান, মোছাঃ আফরুজা বেগম, মোছাঃ মাহবুবা খাতুন, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ মাহাবুল ইসলাম, মোঃ সহিদুল ইসলাম সুমন, মোঃ সাইফুল মিয়া, মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাইম হাসান খান জানান, বৃহস্পতিবার আবেদনটি জমা পড়েছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যা মোঃ আনোয়নারুল ইসলাম জানান, আমরা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ডিডিএলজি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন পাঠিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ হবে বলে আশা করি।