ইকবাল হোসেন। বয়স ৩৮। বাবা মৃত আব্দুল হক কালু মিয়া। বাড়ি পৌর শহরের বালুয়াভাটা মহল্লায়। নয় ভাই-বোনের সংসারে ছোট্ট ইকবাল ১২-১৩ বছর বয়সেই অভাবের তাঁড়নায় সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে কাজ নেন মটরসাইকেল গ্যারেজে।
সেদিন থেকে আর পিছনে ফিরে তাঁকাননি ইকবাল হোসেন। গড়ে তুলেছেন ইকবাল গ্যারেজ নামে একটি ওয়ার্কশপ। এখানে নিয়মিত ৭-৮জন যুবক কাজ করছেন। গত এক যুগ আগে থেকে তার স্বপ্ন একটি উড়োজাহাজ নির্মান করবেন। গত ছয় বছর পূর্বে একটি উড়াজাহাজ নির্মানও করেছিলেন। কিন্তু লোক মূখে বিভিন্ন ভয়-ভীতি পেয়ে সেটি চালিয়ে দেখবার আশা হাঁরিয়ে ফেলেন। বর্তমানে তার তৈরিকৃত জাহাজটি গত একবছর ধরে প্রস্তুত করেছেন।
তিনি এবারে তার বানানো উড়োজাহাজ উড়াতে চান। তিনি স্বপ্ন দেখেন যানজটের বিভীষিকাময় অবস্থা থেকে দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে। তিনি দাবি করেন দেশের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন শহরে ছয়জন যাত্রি নিয়ে তার তৈরিকৃত উড়োজাহাজ এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ছুটবেন। বদরগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে যেখানে ৮-১০ ঘন্টা সময় লাগে, সেখানে তার উড়োজাহাজে ১ থেকে দেড় ঘন্টায় স্বল্প খরচে পৌছানো সম্ভব।
উড়োজাহাজ নির্মানকারী ইকবাল হোসেন জানান, ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মিত তার ১২ ফুটের উড়োজাহাজটি উড়তে সক্ষম। নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা তিনি দেশবাসিকে জানাতে চান। তাই তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর দরখাস্ত করেছেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার আবু সাঈদ বলেন, ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির উড়োজাহাজ নির্মানের খবর শুনেছি। তিনি তার নির্মিত উড়োজাহাজ পরিক্ষামূলক উড়াতে চেয়ে দরখাস্ত করেছেন। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দপ্তরে আলোচনা করছি। সম্পাদনা- মোস্তাফিজার বাবলু।