মামলার কাগজপত্র জাল করে প্রতারণার মাধ্যমে এক আসামির জামিন নেওয়ার ব্যবস্থা করানোর অপরাধে আবুল হোসেন (৪০) নামের এক মুহুরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আবুল হোসেন মুহুরি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের রাজবল্লব গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) ভোরে পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়ননের ৯নং ওয়ার্ডের ধনির বাজার থেকে আবুল হোসেন মুহুরিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে তার স্বীকারোক্তি ও তথ্যমতে অপর আসামি মোক্তার আলীকে একই উপজেলার সাতদরগা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোক্তার অন্নদানগর ইউনিয়নের সাতদরগাস্থ ছোট চওড়ার বাসিন্ধা।
এ সময় তার প্রিন্টার্স দোকান থেকে আদালতের কাগজপত্র, জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, স্ক্যানার ও প্রিন্টারসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়।
পিবিআই রংপুর সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন আসামি আব্দুল মুনিম। তাকে জামিনে মুক্ত করানোর দায়িত্ব নেন আবুল হোসেন মুহুরি। এজন্য তিনি মামলার এজাহার, বাদীর অভিযোগ, সুরতহাল রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট, আসামি ফরোয়ার্ডিং, আদালতের ক্রিমিনাল মিস কেস নম্বর-৯৯/২০২৩ জাল করে জামিন আবেদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র প্রেরণ করেন।
আইনজীবী সেই অনুযায়ী হাইকোর্ট থেকে আসামি আব্দুল মুনিমের জামিনের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, মামলার কাগজপত্র জাল করে প্রতারণার মাধ্যমে আদালতের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই আসামিকে জামিন নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন আবুল হোসেন মুহুরি।
প্রতারণার মাধ্যমে জামিন নেওয়ার ঘটনাটি হাইকোর্টের নজরে এলে আসামি আব্দুল মুনিমের জামিন বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে শাহবাগ থানায় আবুল হোসেন মুহুরির বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে প্রতারণার শিকার আসামি আব্দুল মুনিম একটি মামলা করেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই রংপুরের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) ফেরদৌস আহমেদ জানান, জালজালিয়াতি চক্রের সদস্য মোক্তার হোসেনের সহায়তায় আবুল হোসেন মুহুরি দীর্ঘদিন যাবত এ ধরনের প্রতারণা করে আসছে। জালজালিয়াতির সংঘবদ্ধ চক্রের সকল সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদা- শেখ মোস্তারি জান্নাত।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোবাইল: 000000000000
অফিস: 00000000000000
ই-মেইল: 0000000000000