বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়াতে “সংগ্রামে-স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩-তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। দিবসটি পালনের শুরুতে লিবিয়ায় নিযুক্ত মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় পর্বে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গমাতার জীবন সংগ্রামের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর সমাপনী বক্তৃতায় বলেন বঙ্গমাতা বুদ্ধিমত্তা, ধৈৰ্য্য ও অসীম সাহস নিয়ে আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতা যেমন ছিলেন প্রেরণা ও আলোকবর্তিতা, তেমনি আমাদের স্বাধীনতা ও দেশের মানুষের জন্যও তার অবদান ছিল অনন্য ও অবিস্মরণীয়। ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো বঙ্গমাতার নামও চিরস্মরণীয় থাকবে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গমাতার রেখে যাওয়া নীতি ও আদর্শকে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।
পরিশেষে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।